May 17, 2024, 8:51 am

৬ মাসের মধ্যে পাল্টাচ্ছে দুই শতাধিক শ্রুতিকটু বিদ্যালয়ের নাম

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ের শ্রতিকটু ও নেতিবাচক নাম নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। সেগুলো পাল্টিয়ে সুন্দর, রুচিশীল ও শ্রুতিমধুর নাম রাখার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস-সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে দুই শতাধিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম পরিবর্তন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছর ২৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তিত নামসমূহের গেজেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন বলেন, ‘পাইলটিং করে প্রায় চার লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলির জন্য গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সংশোধিত অনলাইন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মাত্র সাত দিনের মধ্যে অনলাইনে বদলির জন্য আবেদনকৃত ২৫ হাজার আবেদনের বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে তিনি বলেন, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় শুধু প্রথম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্যবই পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ে দেওয়া হবে। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ইতোমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ৪+ ও ৫+ কে বিবেচনা করে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পাইলটিং হিসেবে ৩২১৪টি স্কুলে এ বছর শুরু করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, শিশুর বিকাশ ও খেলাভিত্তিক শিখনের ওপর ছয় দিনব্যাপী প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষকদের তৈরি করার লক্ষ্যে ৭০০ প্রশিক্ষক তৈরি করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষণটিও মাঠ পর্যায়ের সব শিক্ষক সরাসরি ও অনলাইন পদ্ধতিতে পাবেন। এনসিটিবি এরমধ্যে এ বিষয়ে প্রাক-প্রাথমিক বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের ওপর একটি বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দেশব্যাপী পরিচালনা করবে। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :